ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করলেন!
শিক্ষিত এবং প্রজ্ঞাবান মানুষ রাজনীতিতে আসলে কী দুর্দান্ত পরিবর্তন আনতে পারে, সেটা তিনি একদম বাস্তব উদাহরণ দিয়ে দেখালেন।
গত এক সপ্তাহের ঘটনাগুলো একটু দেখে নিই:
🟣 গত সপ্তাহে দেশ-বিদেশের রিপোর্টারদের নিয়ে তিনি আয়নাঘর পরিদর্শনে গেলেন। ঠিক সেই সময়েই UN থেকে গন/হ/ত্যা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চলে আসলো। ফ্যা/সি/স্টদের রাজনীতিতে ফিরে আসার স্বপ্নও ভেঙে গেলো।
🟣 গত কয়েক মাস ধরে আমরা দেখছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু সংস্কারের কথা কেউ বলছে না। মাঝে মাঝে মিডিয়াতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
এই অস্থিরতাকে তিনি এক অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে শান্ত করে দিলেন। বললেন, সংস্কার অবশ্যই করতে হবে... কোন দল কী সংস্কারে রাজি, কোনটি নয়, তা সব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন, যাতে জনগণ দেখতে পারে। সুতরাং, আর কোনও লুকোচুরি বা মিথ্যাচারের জায়গা থাকবে না।
কেউ যদি বেশী বাড়াবাড়ি করে, তবে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। কী অসাধারণ ভাবনা!
🟣 Elon Musk-এর সঙ্গে তিনি টেলিফোনে কথা বলেছেন বাংলাদেশে স্টারলিংক নিয়ে। তারপরেই তিনি টুইট করেন স্টারলিংক বিষয়ে। কিছু ভারতীয় একাউন্ট সেখানে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করতে থাকে, কিন্তু Elon Musk নিজেই এসে সবাইকে চুপ করিয়ে দেন। খুব শীঘ্রই ভারতকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ স্টারলিংক পাবে!
🟣 আজকে তিনি পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে কথা বললেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, পাসপোর্টে এই অযথা ঝামেলা তিনি চান না। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও দ্রুত করবেন। কী চমৎকার সিদ্ধান্ত!
ড. ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের মতো বড় বড় বুলি দেন না। তিনি কাজ করে দেখান!
এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে কারণ তিনি গড়পড়তা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিবিদদের মতো নন। তাঁর চিন্তাভাবনা অন্যদের থেকে অনেক আলাদা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁকে কতটা সম্মানিত করা হয়, সেটা আমরা সবাই জানি।
এমন একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি যদি নির্বাচিত সরকার হিসেবে দায়িত্বে থাকতেন, তাহলে কত কিছুই না বদলানো সম্ভব হতো!
এখানে একটি মজার তথ্য দিয়ে রাখি:
মানুষের ব্রেইন ৩০ বছরের পর আর ডেভেলপ করে না! বরং ধীরে ধীরে তার সক্ষমতা কমতে থাকে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন ফ্রেশ, ইয়াং ব্লাড দরকার...
শিক্ষিত এবং প্রজ্ঞাবান মানুষ দরকার, যারা শুধু বড় বড় বুলি নয়, চমৎকার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে ও জাতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
নতুন বাংলাদেশে দরকার নতুন নেতৃত্ব!
যারা হবে শিক্ষিত, বুদ্ধিমান এবং প্রজ্ঞাবান!
তাহলেই তৈরি হবে বাংলাদেশ ২.০।
আমরা সবাই সেই বাংলাদেশের প্রত্যাশায় অপেক্ষা করছি।
0 Comments